বাজেটিং before ডিজিটাল মার্কেটিং। একটি প্রবাদ আমরা সবসময় বলে থাকি আর তা হলো- ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। আর বাজেটিং দিয়ে ব্যবসায় এই নীতি বাক্যটিই বুঝানো হয়েছে অর্থাৎ যদি খরচের আগে বাজেটিং না হয় তবে খরচের কোন লেজ মাথা খুঁজে পাওয়া যায় না। মানে কোন সুফল আসবে না। ফলাফলের থলি থাকবে শূণ্য বা অপরিপূর্ণ্।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাজেটিং ছাড়াই অনেকেই কাজ করেন,তবে যারা করেন-তাদের যদি পূর্বের অভিজ্ঞতায় ঘাটতি না থাকে, তবে তারা বস। তাদের টেনশন কম। আর যারা কোন নতুন অভিজ্ঞতায় কাজ করেন তাদের জন্য ইহা সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ- বাজেটহীন মার্কেটিং ব্যবসায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাজেটিং before ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত জরুরী।
এখন যেমনি দিন দিন ডিজিটাল প্লাটফর্ম- সবার ব্যবসায়িক প্রচার বা প্রসারের জন্য একটি অন্যতম উপযোগী মাধ্যম হিসেবে পরিচিত পাশাপাশি এই প্লাটফর্মে সঠিক পক্রিয়ায় প্রচারণা না করতে পারলে অগ্রসর হওয়াটা একটু কঠিন। তবে নিয়মিত আপডেটেড থাকলে ও সময়ে পরিক্রমায় ধীরে ধীরে পরিবর্তনের ধারায় তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারলে কিন্তু সঠিক ও সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তাই অবশ্যই বাজেটিং before ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
মূলত ৪টি ক্ষেত্রে আপনার মার্কেটিং বাজেট নিয়ে পর্যালোচনা করতে পারেন সেগুলো হলো-
১। সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
২। ই-মেইল মার্কেটিং
৩। SEO মার্কেটিং
৪। কনটেন্ট মার্কেটিং
সোস্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে আপনি আপনার ব্যবসায়ের জন্য কোনটি নির্ধারণ করবেন তা স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনার অডিয়েন্স কোথায় বেশি সময় দিচ্ছে তার ওপর এবং তার কিছু পার্চেসিং বিহেভিয়র এর ওপর।
আমরা যদি ডিজিটাল প্লাটফর্মে পেইড এডভারটাইজিং করে ভাল ফলাফল আনতে চাই তাহলে বিজ্ঞাপনের আগে অবশ্যই বাজেটিং করে কাজ করা একান্ত আবশ্যক।
বাজেটিং before ডিজিটাল মার্কেটিং
এখন বাজেটিং এর ক্ষেত্রে কিছু টিপস আমরা জেনে নিই-
১। প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং-এ আপনি এই প্রচারণা যেটি আপনি করতে চাচ্ছেন, এর মাধ্যমে আপনি কোন লক্ষ্য অর্জন করতে চান অর্থাৎ আপনার GOAL কী?
বিক্রয় না আপনার পণ্য বা সেবার অথবা আপনার প্রতিষ্ঠানের কোন প্রচারণা বা তথ্য সরবরাহ কিংবা কোন বিষয় সম্পর্কে জানানো।
২। তারপর আপনি স্বাভাবিকভাবে একটু চিন্তা করবেন- আপনি কোন মিডিয়া থেকে কেমন রির্টান বা ফিডব্যাক পাবেন।
৩। তারপর আপনি রিসার্চ করে দেখবেন আপনার কম্পিটিটরগণ কোন মিডিয়াতে বেশি খরচ করছে, কোন কি-ওয়ার্ড গুলো আপনি ব্যবহার করে মার্কেটিং করবেন একটু রিসার্চ করুন।
৪। এবার আপনি আপনার বাজেট প্রস্তুত করবেন কোন মিডিয়াতে কী পরিমানে আপনি ব্যয় করতে চান।
৫। তারপর আপনি নির্ধারণ করুন যে সকল মিডিয়াতে আপনি মার্কেটিং করবেন সেগুলোতে তার উপকরণ কী হবে অর্থাৎ ইমেজ হবে না ভিডিও হবে না কনন্টেন এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন পক্রিয়ায় আপনার কম্পিটিটরগণ মার্কেটিং করছেন।
৬। সর্ব্পরি আপনার বাজেটিং যাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হয় অর্থাৎ যেখানে বেশি রির্টান পাচ্ছেন, খরচের পরিমানটা সেখানে বেশি থাকে।
আর যদি আপনি নতুন মার্কেটিং করেন তবে পুরো বাজেট যাতে একবারে শেষ না করে ফেলেন আপনি পর্যবেক্ষণ করুন আপনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনার ফলাফল ঠিকভাবে আসছে কিনা এবং পরবর্তিতে কিছুটা পরিবর্তন প্রয়োজন হলে তা করে ফেলুন।